একাত্তরের রণাঙ্গনে জীবন বাজী রেখে দেশ মাতৃকার টানে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা নাটোরের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোঃ আবুল হোসেন। জীবন সায়হ্নে এসে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ‘সি’ ক্যাটাগরির গেজেটভুক্তির আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বছরের ১লা অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর এ সংক্রান্ত একটি আবেদন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন।
জানা যায়, ১৯৭১ সালে আনসার বাহিনীর সদস্য হিসেবে আবুল হোসেন ৭ নং সেক্টরের হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এসময় পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে যুদ্ধ চলাকালীন ২ বার গুলিবিদ্ধ হন।
২০১৪ সালের ২৬ শে অক্টোবর বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্টের বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্তির জন্য আবেদন করেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার তথ্য দিলেও তার নাম যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত না হওয়ায় ২০১৮ সালের ২০ শে ফেব্রুয়ারী হাইকোর্টে রিট করেন তিনি৷
রিটের জবাবে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কল্যান ট্রাস্ট জানায়, মাসিক ২৫ হাজার টাকা নগদ ভাতা ও রেশন সুবিধাসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করেছে।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের দাবী, এ পর্যন্ত যতগুলো গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলোর কোনটিতেই তার নাম নেই। ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৯ সালের গেজেটে বেশ কয়েকজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বারবার তথ্য জমা দিয়েও তার নাম গেজেটভুক্ত করা হয়নি। তবে বাংলাদেশ গেজেটসহ অনান্য তালিকায় তার নাম আছে।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন বলেন, গেজেট করার একমাত্র এখতিয়ার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের। কিন্ত আমি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তা থেকে বারবার বঞ্চিত হয়েছি।
তাই এবার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর আমার আর্জি জানিয়েছি। জীবনের শেষ ভাগে এসে এইটুকু সম্মান আর আত্নতৃপ্তি নিয়ে যেনো বেঁচে থাককে পারি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই দাবী করছি।